আব্দুছ সালাম বাপ্পি :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের সুয়াগাজী ফরেস্ট চেক স্টেশনের অভিযানে অবৈধ কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। অবৈধ ভাবে সংগৃহীত কাঠ অন্যত্র পাচার করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনাইতরী এলাকায় একটি মিনি ট্রাকে তল্লাশী চালিয়ে ২৭ টুকরা ১০০ ঘনফুট গোল করই কাঠ উদ্ধার করে। কুমিল্লা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিমের নির্দেশনায় ও ফরেস্ট রেঞ্জার তোষষারফ হোসেন এর নেতৃত্বে বন বিভাগের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
বন বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়,০২/০২/২০২০ইং তারিখ রাত আনুমানিক ১০.০ ঘটিকার সময় গোপন সূএে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী ফরেস্ট চেক স্টেশনের সামনে ঢাকা অভিমুখী এিপল বাঁধা মিনিট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ড-১৪-৩৭৯৮) থামার জন্য সংকেত দিলে ড্রাইভার সংকেত অমান্য করে দ্রুতগতিতে পালাতে থাকে। অন্য একটি গাড়ী নিয়ে বর্ণিত মিনিট্রাকের পিছু ধাওয়া করা হলো কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনাইতরী এলাকায় ড্রাইভার বর্ণিত মিনিট্রাক থামিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তল্লাশী করে দেখা যায় যে, মিনিট্রাকের ত্রিপলের নীচে কৌশলে করই গোল কাঠ পরিবাহিত হচ্ছে। গাড়িতে মধ্যে পরিবাহিত কাটের বৈধতার স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র না পাওয়াতে এবং কাঠের মধ্যে বন বিভাগের কোনপ্রকার হাতুড়ি টিহ্ন না থাকায় প্রতীয়মান হয় যে, অবৈধ ভাবে সংগৃহীত কাঠ অন্যত্র পাচার করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলের আশ-পাশে ব্যাপক তল্লাশী করে এবং জিজ্ঞাসাবাদে কেহ মালিকানা দাবী না করায় স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় অবৈধ কাঠ বোঝাই মিনি ট্রাকটি শাকতলাস্থ কুমিল্লা বন বিভাগীয় কার্যালয়ে এনে সমুদয় কাঠ আনলোড করে পরিমান গ্রহন করতঃ সাক্ষীগণের উপস্থিতিতে জব্ধ তালিকা তৈরী করা হয়েছে এবং টি.এম নোট বহির ০৯/১৬৪২ পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। জব্দকৃত কাঠের পরিমান করই গোল কাঠ ২৭ টুকরা ১০০ ঘনফুট। জব্দকৃত কাঠের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা। প্রকৃত অপরাধীর সন্ধান পেলে পরবর্তী আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহোদয় সমীপে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। অপরাধী ১৯২৭ সনের বন আইনের (২০০০ সনে সংশোধিত) ৪১ ধারা লঙ্ঘন করায় ৪২ ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত করেছে।